করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করা যাবে না, এই দাবিতে ফের উত্তাল শ্মশান চত্বর। শনিবার রাতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গোপনে করোনা আক্রান্তের দেহ দাহ করার অভিযোগে সোচ্চার হন স্থানীয় মানুষ। যদিও পুলিশের দাবি, যাদের দেহ দাহ হয়েছে তারা করোনায় সংক্রমিত ছিলেন না।
রবিবার রাতে নবদ্বীপ শ্মশানের সেই বিক্ষোভের ভিডিয়ো ফেসবুকে প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এর আগেও পুলিশি পাহারায় শ্মশানে করোনা আক্রান্তদের দেহ সৎকার হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে না পুড়িয়ে পাশে কাঠের চিতার পাশে পোড়ানো হয়েছে ওই দেহ। এমনকী দেহ সৎকারে কাঠ না ব্যবহার করে কেরোসিন ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এমনকী তখন একটি দেহ কেরোসিন মাখিয়ে শ্মশানের পাশের জঙ্গলে ফেলা রয়েছে বলে দাবি করতে শোনা গিয়েছে এলাকাবাসীকে।
এই অভিযোগে শনিবার রাতে পুলিশ আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, শ্মশানে বহিরাগত দেহ সৎকার চলবে না। যদিও করোনা আক্রান্তের দেহ শ্মশানে সৎকারের অভিযোগ অস্বীকার করতে শোনা গিয়েছে পুলিশ আধিকারিককে। তাঁর দাবি, মৃত ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, তাহলে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল না কেন। এমনকী ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসার পর কী করে এক লাফে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২ থেকে ৫৭ হয়ে গেল’, এই প্রশ্নও করতে শোনা যায় এলাকাবাসীকে।
করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বেঁধেছে। বাঁকুড়ায় স্থানীয়দের সরাতে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ারের শালকুমারহাটে তো পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় পুলিশের ৩টি গাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।