বিধানসভার প্রয়াত ডেপুটি – স্পিকার সুকুমার হাঁসদার দেহ সৎকার নিয়ে দিনভর তুমুল উত্তেজনা ছড়াল তাঁর দুবরাজপুরে। নেতা-মন্ত্রীরা বসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সমঝোতা করিয়ে অবশেষে বিকেলে সৎকার হয় দেহ। সুকুমারবাবুর পরিবারের তরফে শ্মশান তৈরির জন্য ৩ কাঠা জমি লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর দেহ সৎকারের অনুমতি দেন গ্রামবাসীরা।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার পর বৃহস্পতিবার কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার চিকিৎসক সুকুমার হাঁসদার। শুক্রবার দুবরাজপুরে তাঁর পৈত্রিক গ্রামে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। কিন্তু সুকুমারবাবুর পরিজনেরা দাবি করেন, সৎকার গ্রামে করলে শ্রাদ্ধশান্তিও গ্রামে করতে হবে। ততে বেঁকে বসেন প্রয়াত বিধায়কের পুত্র সুরজিৎ হাঁসদা। এর পরই পরিবারের লোকেরা জানিয়ে দেন সেখানে তাহলে সৎকার করা যাবে না।
এর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুরের জারলোটা গ্রামে। সেখানে বেশ কিছুটা জমি কিনেছিলেন সুকুমারবাবু। সেই জমিতেই সৎকারের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু গ্রামের মধ্যে দেহ সৎকার করতে দেওয়া হবে না বলে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের মধ্যেই চিতা সাজান প্রশাসনের কর্মীরা। এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা চিতা থেকে কাঠ সরিয়ে নিতে থাকেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া। উপস্থিত হন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি ও পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভকত। অনেক বুঝিয়েও গ্রামবাসীদের দেহ সৎকারে রাজি করতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, দেহ যেখানে সৎকার করা হবে সেই জমি শ্মশান তৈরির জন্য লিখে দিতে হবে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর জমি লিখে দিতে সম্মত হয় সুকুমারবাবুর পরিবার। তার পর সৎকার হয় সুকুমার হাঁসদার দেহ।