গ্রামবাসীদের বাধায় মহারাষ্ট্রে মৃত এক প্রবাসী শ্রমিকের দেহ সৎকারে কালঘাম ছুটল পরিবারের। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বার বার বোঝানোর পর গ্রামের এক কোণে শেষকৃত্য হয় ওই ব্যক্তির।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয় রাজু জানা নামে পিংলার নারাথা গ্রামের ওই বাসিন্দার। মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবার। কিন্তু গ্রামবাসীরা কিছুতেই দেহ পদ্মাবতী শ্মশানে সৎকার করতে দেবেন না বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুরু হয় চরম দড়িটানাটানি।
দেহ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি একবার শ্মশান, একবার পিংলা থানায় ছোটে। কিন্তু পুলিশকর্মীদের কোনও কথাই কানে তোলেননি গ্রামবাসীরা। ফলে ময়দানে নামতে হয় পদস্থ কর্তাদের।
মহকুমা শাসক গ্রামবাসীদের বোঝান, ওই যুবকের মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে তাতে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তার পরই দেহ গ্রামে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তাদের কথায় গ্রামবাসীরা গ্রামের এক কোণে দেহ সৎকারের অনুমতি দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও কী ভয়ানক আতঙ্ক ছড়িয়েছে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ এই ঘটনা। আতঙ্কে আদিম গোঁড়ামিতে ফিরে যাচ্ছে মানুষ। যা ভয়ানক প্রবণতা বলে মনে করছেন অনেকে।