ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে প্রণয়ীনীকে নির্জন ইটভাটায় নিয়ে গিয়েছিল প্রেমিক ও তার চার বন্ধু। সেখানে পাঁচজন মিলেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল! ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদায়। ঘটনায় প্রেমিক-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের শনিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আপাতত চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় নির্যাতিতার মা ওই পাঁচ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তিন যুবককে গ্রেফতার করে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে ৷’
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়। এদিন নির্যাতিতা নাবালিকাকে তার প্রেমিক বাড়ি থেকে বাইকে বসিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বের হয়। তারপর তাঁকে একটি নির্জন ইটভাটায় নিয়ে যায়।
ওই যুবক সঙ্গে তার এক বন্ধুও যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ওই কিশোরীকে জোর জবরদস্তি দু’জনে মিলে ধর্ষণ করে। এর পর ইটভাটা থেকে তাকে তুলে অন্যত্র জায়গায় নিয়ে গিয়ে অপর ৩ যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। ঘটনার জেরে ওই নাবালিকা অচেতন হয়ে পড়লে, ওই পাঁচ অভিযুক্ত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করতে থাকে নাবালিকা। তা শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ওই কিশোরীর পরিবার। তখন বাড়ির লোকেদের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে জানায় ওই নাবালিকা। পরে চাঁচল থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দামাইপুর এলাকার অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় নাবালিকার। প্রথমে বন্ধুত্বের পর সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। তবে এই কাণ্ড কেন ঘটাল ওই যুবক, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।