প্রত্যাশিত ছিল। ঠিক সেটাই হল। পালটে গেল ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি। রবিবার রাতের দিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল যে আগামী বছর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে মাধ্যমিকের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তা ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় ঘোষণা করা হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের মাধ্যমিকে কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তা ২০২৪ সালের ফলপ্রকাশের সময় ঘোষণা করবে পর্ষদ।
সাধারণত সেটাই করা হয়। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিনই পরের বছরের পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রুটিন ঘোষণা করা হয়। কবে থেকে মাধ্যমিক শুরু হবে, কবে কী পরীক্ষা হবে, কতদিন পরীক্ষা চলবে, তা ঘোষণা করে দেয় পর্ষদ। কিন্তু এবার সেই ধারায় ইতি পড়ে যায়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকাশ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে বলে ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাই নয়, কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা হবে, সেটাও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সেই সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
কিন্তু যেদিন থেকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, সেদিন রাজ্যের সরকার ও সরকার-পোষিত স্কুলে ছুটি থাকে। পঞ্চানন বর্মার জন্মবার্ষিকী হওয়ায় এমনিতেই ছুটি থাকে। সেইসঙ্গে সেদিন শবে বরাতও পড়বে। সেই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ যে পালটে যাবে, তা নিশ্চিত ছিল। শুধু সরকারিভাবে কবে সেই ঘোষণা করা হয়, সেটার অপেক্ষায় ছিল সংশ্লিষ্ট মহল। আর রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে।
সেই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘শবে বরাত এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মবার্ষিকীতে প্রতি বছর ছুটি থাকা সত্ত্বেও আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে ঘোষণা করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শেষপর্যন্ত ১৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে বলে ঘোষণা করল পর্ষদ। এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী যে ঘোষণা করেছিলেন, তা একেবারেই কাঙ্খিত নয়।’