দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক। মঙ্গলবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। এদিকে এদিনই সনাতনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর ২২ দিন কাটলেও সনাতনকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করতে পারল না সেই প্রশ্ন উঠছে।
ফলতায় ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী জুলি মজুমদারকে মারধর করার ঘটনায় সোমবারই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছিল ৩ অভিযুক্ত। এর পর মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সনাতন। জামিনের আবেদন করে সনাতনের আইনজীবী বিচারককে বলেন, সনাতনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সনাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ঘটনায় সনাতনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাতে আহত হয়েছিলেন তিনি নিজেও। চিকিৎসকের নথি আদালতে পেশ করেন আইনজীবী। আদালতের রায় এখনো জানা যায়নি।
সনাতনের আত্মসমর্পণে বিরোধীদের প্রশ্ন, এতদিন কেন সনাতনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ? কেন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে এতদিন জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করা হয়নি? সংবাদমাধ্যমে শোরগোল শুরু হতেই কেন পুলিশের তৎপরতা? তবে কি শাসকদলের নেতা বলে সনাতনকে আত্মসমর্পণের গ্রিন করিডর করে দিল পুলিশ?