মৃত্যুর পর অন্তিম যাত্রা যেন আনন্দ করে হয়, এমনটাই ইচ্ছা ছিল মালতীদেবীর। সেইমতো ডিজে বাজিয়ে আনন্দ করতে করতে শেষযাত্রায় অংশ নিলেন ১১২ বছর বয়সি মালতীদেবীর পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে গোটা গ্রামের বাসিন্দারা পা মেলালেন এই অন্তিম শোভাযাত্রায়।
জানা যায়, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে পানিকাউরি অঞ্চলের দুবরাগছ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মালতী সরকার। মারা যাওয়ার পর তাঁর অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী মালতীদেবীর শেষ যাত্রায় ছিল ব্যান্ড পার্টি। সেইসঙ্গে ডিজেও। মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। মরদেহের শেষে নাচতে নাচতে যান মালতীদেবীর আত্মীয় পরিজন ও পাড়ার বাসিন্দারা। ব্যান্ড পার্টির তালে তালে নাচতে নাচতে শবদেহকে নিয়ে গেলেন পাড়া প্রতিবেশি ও আত্মীয়রা। অন্তিম যাত্রায় এমন একটি দৃশ্য অস্বাভাবিক হলেও এমনটাই ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। আনন্দ করতে করতে শেষ বিদায় জানানো হল মালতীদেবীকে।
এই প্রসঙ্গে মালতীদেবীর নাতি ভোলা সরকার জানান, ‘আমার ঠাকুমা ১১২ বছর বেঁচেছেন। অনেককিছুই দেখেছেন তিনি। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পর শেষ বিদায় যেন আনন্দ করে হয়। তাই আমরা ডিজে বাজিয়ে ঠাকুমাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’