সাধারণত স্ত্রীর উপর নির্যাতন করা হয় বলেই সচরাচর শোনা যায়। তবে পুরাতন মালদহ থানার মহিষাবাথানি গ্রাম পঞ্চােতের রাহুত গ্রামে একেবারে উলট পুরাণ। এবার স্বামীকে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে মাদক খাইয়ে অন্তর্বাস দিয়ে মুখ বেঁধে দেয় স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ।
এরপর হাত পা ও বেঁধে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর তারপর সেই ছবি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে নিজের মাকে দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকী স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই বধূকে গ্রেফতার করেছে। ওই মহিলার মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। স্ত্রীর নাম আসমিরা খাতুন। তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজারের নরহট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামে।। আর স্বামী আয়াতুল শেখ। বাড়ি রাহুত গ্রামে।এদিকে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন ওই যুবক। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আর তারপরই স্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন তিনি।
আয়াতুলের দাবি, বাড়ি ফিরে আসার পরে তিনি অনুভব করেন তাঁকে কিছু একটা খাইয়ে দিত স্ত্রী। এরপরই তাঁর সবসময় ঘুম ঘুম পেত। কেন তিনি ঝিম মেরে বসে থাকেন এনিয়ে স্ত্রীর কাছেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা বদলে জুটল চরম নির্যাতন। ঠিক কী হয়েছিল সোমবার রাতে?
আয়াতুলের দাবি, খুনের চেষ্টাই হয়েছিল। অন্তর্বাস দিয়ে মুখ বেঁধে দিয়েছিল। এরপর ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে মাকেও দেখায়। তবে গোঙানির শব্দ শুনে কোনওরকমে পাশের ঘর থেকে বৃদ্ধ বাবা মা এসে বাঁচান। না হলে মেরেই ফেলত স্ত্রী।