মালদার বামনগোলায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণধোলাইয়ের পর ভুয়ো মামলা দিয়ে তাদের জেলবন্দি করার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তার পরই টনক নড়ল রাজ্য প্রশাসনের। বামনগোলা থানার আইসিসহ ৪ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করলেন জেলার পুলিশ সুপার। ঘটনার ৯ দিন পর কেন পুলিশের ঘুম ভাঙল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
শুক্রবার সকালে বামনগোলা থানার আইসি জয়দেব মুখোপাধ্যায়, নালাগোলা ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, ১ সাব ইন্সপেক্টর ও একজন অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই নালাগোলা ফাঁড়ি এলাকার পাকুয়াহাটে ২ মহিলাকে চোর অপবাদ দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। অভিযোগ বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁদের মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় জনতা। গোটা ঘটনায় দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। ২ মহিলাকে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বদলে নির্যাতিতাদের বিরুদ্ধেই নালাগোলা ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এর পর তাঁদের জেল হেফাজত হয়। ৭ দিনের জেল হেফাজত শেষে সরকারি আইনজীবী আদালতে স্বীকার করেন, ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার জামিন পান নির্যাতিতারা। এর পর পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাঁরা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তি দাবি করেন।
ওদিকে গত ২৩ জুলাই বিবস্ত্র করে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নামে তারা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করে। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পর অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না রাজ্য প্রশাসনের কাছে।