লোকসভা ভোটে দলের থেকে ফান্ড মেলেনি। তাই টিকিট ফেরত দিলেন পুরীর কংগ্রেস প্রার্থী সুচরিতা মহন্তি। লোকসভা ভোটের আগে এটি বড় ধাক্কা কংগ্রেসের কাছে।
আগামী ২৫ মে পুরী লোভসভা আসনের সাতটি বিধানসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬ মে মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ তারিখ। ইতিমধ্যে বিজেডির প্রার্থী অরূপ পট্টনায়েক এবং বিজেপির প্রার্থী সম্বিত পাত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী সুচরিতা মহন্তি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।
সংবাদ মাধ্যমকে মহন্তি,'আমি শুক্রবার পার্টি নেতৃত্বকে একটি মেল পাঠিয়েছি। ভোট লড়াই করার জন্য আমার কাছে তহবিল নেই। তাই আমি পার্টির টিকিট ফেরত দিয়েছি।'
আরও পড়ুন। বাঘের ভূখণ্ডে ভোটকেন্দ্র, সুন্দরবনের ভোটকেন্দ্রগুলি ঘেরা হচ্ছে নাইলন দড়ির ফেনসিংয়ে
ক্রাউড ফান্ডিংয়ে ভরসা
এর আগে ভোটে লড়ার তহবিল সংগ্রহের জন্য কংগ্রেস প্রার্থী ক্রাউড ফান্ডিং সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কিউআর কোড দিয়ে অর্থের জন্য আবেদন জানান। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দেওয়ার কারণ এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের রাস্তায় হাটতে হয়েছিল। কিন্তু ভোটে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তিনি সংগ্রহ করতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যেহেতু আমি নিজে থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারিনি, তাই আমি দলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম ভোটে লড়ার অর্থ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। তাই আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে এসেছি।'
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও লোকসভা ভোটে দাঁড়ান সুচরিতা। কিন্তু সেবার তিনি হেরে যান।
আর পড়ুন। দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিলের জের, 'নো ডিউজ' নিয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কমিশনের
কেন 'ফ্রিজ' কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসের চারটি মূল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর দফতর। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, আয়কর রিটার্ন জমা দিতে মাত্র ৪৫ দিন হয়েছিল। সেজন্য ২১০ কোটি টাকা জরিমানা করে আয়কর দফতর। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, তাদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে 'অগণতান্ত্রিকভাবে' ৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে আয়কর দফতর।
আরও পড়ুন। দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিলের জের, 'নো ডিউজ' নিয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কমিশনের