রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার পর জেলায় জেলায় গণনাকেন্দ্রের পাশে ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট পেপার। শুক্রবারও জারি রইল সেই ধারা। এদিন মালদার মানিকচক থেকে উদ্ধার হল প্রচুর ব্যালট। আর সমস্ত ব্যালটে ছাপ রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর নামে। পুলিশের সামনেই প্রায় ৫০০ এরকম পরিত্যক্ত ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
মানিকচক ব্লকের ভোটগণনা হয়েছিল বিএসএস হাইস্কুলে। শুক্রবার গণনাকেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরে বোচাহি দিঘির পাশে ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় সিপিআইএম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা। দেখা যায় সেখানে ২৭ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের বিজেপি প্রার্থী গৌরচন্দ্র মণ্ডলের নামে ছাপ দেওয়া প্রায় ৫০০ ব্যালট পেপার পড়ে রয়েছে। এর পর মানিকচক বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্রের নির্দেশে ভোটগণনায় কারচুপি করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ভোটগণনার দিনই কারচুপি ধরা পড়েছিল। তবে অভিযোগ করে ফল মেলেনি। উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকনগর বুথে ভোটার সংখ্যার থেকে অনেক বেশি ভোট পড়েছিল।
এই ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিএমও। জেলা পরিষদের ওই আসনে দলের প্রার্থী দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, ‘গণনার সময়ই বুঝেছিলাম কারচুপি হয়েছে। ব্যালট বাক্স বদল করেছে তৃণমূল। কিন্তু প্রমাণ না থাকায় অভিযোগ করতে পারিনি। এবার সব স্পষ্ট হল। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।’
কংগ্রেস নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘তৃণমূল আগে থেকেই জানত মানুষ তাদের ভোট দেবে না। তাই প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আগে থেকেই কারচুপির ব্যবস্থা করে রেখেছিল।’