এখন মালদার পরিবেশ সরগরম হয়ে পড়েছে। কারণ একমঞ্চে দেখা যাবে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর প্রতিপক্ষে বিজেপি। অর্থাৎ জনসংযোগে এবার জোর পদক্ষেপ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মালদার ইংলিশবাজারে সভা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহ এবং সোনিয়া গান্ধী–আহমেদ প্যাটেল জুটির মতোই উত্তরবঙ্গের জেলায় এই জুটি নামতে চলেছে। যার সমালোচনা বিজেপি করবে এটাই দস্তুর। তাই তারা রাজনৈতিকভাবে থাকবে প্রতিপক্ষে।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মালদা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। এমনকী একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার মালদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা অধিবেশনে সামিল হবেন বাংলার দিদি। অভিষেকের তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। যার জন্য বিজেপি সমালোচনা করতে শুরু করেছে। কোচবিহার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর সব জায়গাতেই তাঁকে বরণ করে নিয়েছেন মানুষ। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে বারবার দেখা গেল অভিষেককে। দেখা করেছেন দণ্ডি কাটা আদিবাসীদের পরিবারের সঙ্গেও। আবার গাড়ির ছাদে উঠে জনসংযোগে সামিল হয়েছেন। ছয় জেলায় প্রায় ৩২টি জনসভা করেছেন। কিন্তু ক্লান্ত না হয়ে নতুন উদ্যমে ছুটে চলেছেন। মালদার সভা দিয়ে তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর শেষ হবে। তাই সেখানে থাকছে চমক।
অন্যদিকে মালদায় বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ২১১টি আসনে জিতলেও মালদায় একটি আসনও পায়নি। আবার ২০২১ সালের নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে মালদায় কিছুটা সাফল্য পায় ঘাসফুল শিবিরের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানে জোর লড়াই হবে তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের। কোতোয়ালি হাভেলিকে টক্কর দিয়ে আসন জেতা কষ্টকর বলেই এখন থেকে জনসংযোগ। অভিষেক–মমতাকে একমঞ্চে দেখা যাবে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। এমনকী অভিষেকের সভায় বক্তব্যও রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ কী? মালদার অধিবেশনে মমতা–অভিষেক একই মঞ্চে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই তার প্রাক্কালে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এবং দলে গোষ্ঠী কোন্দলে রাশ টানতে একমঞ্চে মমতা–অভিষেক বলে সূত্রের খবর। মালদায় যেটুকু তৃণমূল রয়েছে তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভাল ফলই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের। এমন প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচিতে তৃণমূল সুপ্রিমো যোগ দিলে সেটা আরও জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।