ভারত–বাংলাদেশের যৌথভাবে পালন করা ভাষা দিবসে জায়গা করে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তাও আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশেই। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজনৈতিক বাতাবরণ। কেন এমনটা হল? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তরজাও। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নয়া স্লোগান বাজারে নিয়ে আসা হয় ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।
প্রত্যেক বছর ২১ ফ্রেরুয়ারি পেট্রাপোল সীমান্তে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে ভারত ও বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস প্রকোপে এবার অনুষ্ঠানের বহরে কাটছাঁট করা হয়েছিল। অনাড়ম্বরভাবেই ভাষা দিবস পালিত হল পেট্রোপোল সীমান্তে। আর সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। দু'দেশের অনুষ্ঠান যখন সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকাটাই দস্তুর। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি স্থান পাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের সূতিকালগ্নে বাড়তি অক্সিজেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে? এদিন ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে পেট্রোপোল সীমান্তে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি তোরণও রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন ১০০ জনের এক প্রতিনিধিদল। তারপর দুই দেশের বাসিন্দারা মিলে পালন করেন ভাষা দিবস। সেখানেই পাশাপাশি চলে আসে 'বাংলার মা' শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
এই বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, ‘দু’দেশের যৌথ অনুষ্ঠানে মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে নরেন্দ্র মোদীর ছবি ছিল না। লাগানো হয়েছিল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এটা প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করা।’ পালটা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কো–অর্ডিনেটর গোপাল শেঠের দাবি, ‘এটা অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। দুই বাংলার মৈত্রী বন্ধনের উৎসব। তাই বাঙালিদের ছবি দিয়েই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। এটা বাংলা–বাঙালির আবেগের বিষয়।’