'প্রমাণ করতে পারছে না, শুধু আটকে রেখেছে।' দুবরাজপুরের ভার্চুয়াল সভা থেকে এভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়লেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টার দুর্ঘটনায় চোট লেগে ঘরবন্দি মমতা। তবু প্রচারে খামতি দেননি তিনি। বাড়ি থেকেই ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন তৃণমূল নেত্রী। এদিনও সভা থেকে কেন্দ্রকে এক হাত নেন তৃণমূল নেত্রী।
সোমবার ফোনেই সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা। তিনি বলেন,'কেষ্টকে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি ওর মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছে। দোষ থাকলে আদালতে প্রমাণ করুক। কিন্তু কোনও প্রমাণ করতে পারছে না।' মমতার দাবি, 'ওকে আটকে রাখা হয়েছে যাতে ও তৃণমূল করতে না পারে। পঞ্চায়েত ভোট করতে না পারে।'
বিজেপিকে নিশানা, কেন্দ্রকে তোপ
সভা শুরু থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। একশো দিনের প্রকল্পের টাকা বাংলার বাড়ির মতো প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র যে আটকে রেখেছে, তা নিয়ে সবর হন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপিকে নিশানা করে মমতার মন্তব্য,'বিজেপি কাশ্মীরকে শেষ করে দিল। এবার বাংলায় চোখ। আদিবাসীদের মধ্যে অশান্তি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কামতাপুরির এক বিজেপি নেতা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য আলাদা আইন করেছি। সেখানে বলা হয়েছে আদিবাসীদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া যাবে না। মণিপুরের পরিস্থিতি দেখুন। বিজেপি এগুলো করাচ্ছে।'
সব লাড্ডু এক নয়
ভার্চুয়াল সভায় বাম-কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের অবস্থান মতোই তিনি বলেন, 'বিজেপির ফান্ডেই রাম-বাম-শ্যাম একজোট হয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস দিল্লি আমাদের পাশে থাকতে বলছে। আমরাও সাধ্যমতো সাহায্য করছি। কংগ্রেসও যতটা পারছে করছে। কিন্তু দিল্লিতে সাহায্য চাইবে, আর এখানে আমাদের বিরুদ্ধে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাবে তা তো হবে না। দিল্লির লাড্ডু এক আর এখানকার লাড্ডু আর এক কী ভাবে চলবে?'
বেরোতে ৭-৮ দিন লাগবে
কপ্টারে চোটের কারণে ঘরবন্দি মমতা। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বাড়িতেই রয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, বাইরে বেরোতে এখনও ৭-৮ দিন সময় লাগবে। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তাঁরা বার্তা, 'সবাইতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমার সহকর্মীদের বলব কোনও রকম বিভেদ নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিভেদ দেখলেই অ্যাকশান নেব আমি। আমার ৭-৮ দিন সময় লাগবে। তার পর আমার ছোটখাটো অপারেশান হবে। আমার হাঁটুতে জোর লেগেছে। '