নববধূকে বারে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকার আন্দুলিয়া গ্রামের। বছর কুড়ির তরুণীর দাবি, টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করেন স্বামী। এমনকী কলকাতায় বারে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে লকডাউনের মধ্যেই পেশায় মাংসবিক্রেতা সমীরের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। ৫ লক্ষ টাকা পণের বিনিময়ে চার হাত এক হয়। তরুণীর বাড়ি বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভয়দা গ্রামে। তরুণীর বাবা পেশায় স্থানীয় ফুচকা বিক্রেতা। সর্বস্ব দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তরুণীকে বাপের বাড়ি থেকে আরও ২ লক্ষ টাকা ও ৩ ভরি সোনা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল স্বামী সমীর। তাঁর দাবি মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছিল তরুণী। এর জেরে তরুণীর ওপর চলছিল অকথ্য নির্যাতন। যার জন্য বিয়ের এক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকহার হাড়োয়া হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয় তাঁকে।
শুক্রবার হাড়োয়া থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। তাতে তিনি লিখেছেন, টাকার দাবি মেটাতে না পারায় কলকাতার বারে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বামী। সেজন্য কয়েকবার কলকাতার কয়েকটি বারে তাঁকে নিয়ে যায় সমীর। এমনকী টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে স্ত্রীকে সহবাস করতে বাধ্য করে সে। তরুণীর এমন অভিযোগে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরাও।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ওদিকে পুলিশে অভিযোগ করায় তরুণীকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত স্বামী।