স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করল যুবক। তারপর ফোন করে থানায় জানাল সেই খবর। পুলিশ আসার আগেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করল যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের মণিহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙাডি গ্রামে। পুলিশ এসে স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করে। আর অচৈতন্য যুবককে কল্লোলি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই যুবকের নাম গৌতম মাহাত। পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের মণিহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙাডি গ্রামের বাসিন্দা। রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত। ফলে আর্থিক টানাটানি ছিল সংসারে। এই গ্রামের মেয়ে মমতার সঙ্গে গৌতমের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের ৬ বছরের একটি ছেলে এবং সাড়ে তিন বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। এই অভাবের কারণেই স্ত্রী–সন্তানদের কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গৌতম বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তে কী উঠে আসছে? পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গৌতমের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘুমোচ্ছিল। তখন যুবক গৌতম তিনজনকেই ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়ুল দিয়ে কোপায়। ঘটনাটি কাশীপুর থানার পুলিশকে ফোন করে জানায়। ফোনে গৌতম বলেন, ‘স্ত্রী–সন্তানদের খতম করেছি।’ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, ঘরের ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গৌতমের স্ত্রী ও দুই সন্তান। আর কিছুটা দূরে পড়ে রয়েছে গৌতম। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছিল।
ঠিক তার পর কী হল? পুলিশ গৌতমকে তৎক্ষনাৎ কাশীপুরের কল্লোলি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখানে এখন চিকিৎসাধীন গৌতম। বাকি দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন যুবক গৌতম এই কাজ করল? শুধুই কী আর্থিক অনটন? নাকি নেপথ্যে আছে অন্য কোনও ঘটনা? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন।