নাগাড়ে বর্ষায় উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্সে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ বসতি ও বনাঞ্চল। মানুষের মতো আর্ত বন্যপ্রাণও। তেমনই একটি হরিণকে প্রাণ বাজি রেখে বাঁচালেন এক যুবক। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার ললিতবাড়ি এলাকার ঘটনা। বিশ্ব রায় নামে ওই যুবকের প্রশংসা করেছেন বনাধিকারিক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মান্তাবাড়ি পঞ্চায়েতের ললিতবাড়ি এলাকায় শনিবার সকাল ৭.২০ মিনিট নাগাদ এতটি হরিণ ভেসে যেতে দেখেন বিশ্ব রায় নামে ওই যুবক। কোনও কিছু না ভেবে হরিণটিকে বাঁচাতে খালের জলে ঝাঁপ দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পাড়ে জড়ো হয়ে যান অন্য যুবকরা। তাঁদের সহযোগিতায় প্রবল স্রোতের বিপরীতে প্রায় ৫০ মিটার সাঁতার কেটে হরিণটিকে রক্ষা করেন ওই যুবক।
এর পর খবর যায় বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চলের বেলাকোবা রেঞ্জর দফতরে। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। বনাধিকারিক সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, ‘হরিণটি বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির। সেটিকে সুস্থ করে আজই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যুবকের সাহসিকতা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।’
বলে রাখি, প্রতি বছর বন্যায় উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে প্রচুর বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়। জলের তলায় চলে যায় জলদাপাড়া, গোরুমারা বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল নামলে গজিয়ে ওঠা বিস্তীর্ণ তৃণভূমি হয়ে ওঠে বন্যপ্রাণীদের আদর্শ প্রজননক্ষেত্র।