প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় প্রাণঘাতী হামলা হল স্বামীর ওপরে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে কোপাল স্ত্রীর প্রেমিক। ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির ঘটনায়। আক্রান্ত অভিজিৎ সর্দার কলকাতায় চিকিৎসাধীন। তাঁর স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে অভিজিৎবাবুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা স্বপ্নাদেবীর। দম্পতির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রী অভিজিৎবাবু অনেক সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। সেই সুযোগে বলাগড়ের বাসিন্দা রবীন বৈদ্য নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্বপ্নার। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ের ২ বছর পরই রবীনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়।
কিছুদিন আগে বিষয়টি জানতে পারেন রবীনবাবু। এর পর দম্পতির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। যদিও রবীনকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না স্বপ্না। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে স্ত্রীকে ধরে ফেলেন অভিজিৎবাবু। দুজনের মধ্যে অসম্ভব কলহ শুরু হয়। এরই মধ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে অভিজিৎকে আক্রমণ করেন রবীন। এলোপাথাড়ি কোপে তাঁর দেহে একাধিক গভীর ক্ষত তৈরি হয়। রক্তে ভেসে যায় চারদিক। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মগরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। এই সুযোগে সাইকেল নিয়ে এলাকা ছাড়ে রবীন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মগরা থানার পুলিশ। অভিজিৎবাবুর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বপ্নাদেবী তাঁর মা যূথিকা সর্দার ও প্রেমিক রবীন বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে তারা।