স্কুল, কলেজ খোলার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন হলেও স্কুলে যাওয়া নিয়ে পড়ুয়াদের খুব একটা আগ্রহ নেই। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন স্কুল,কলেজে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার এমনটাই বলছে। স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৬২ থেকে ৬৩ শতাংশ। সেই জায়গায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতির হার ছিল আরও উদ্বেগজনক। শতাংশের বিচারে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। যা নিয়ে চিন্তিত উচ্চ শিক্ষা দফতরের কর্তারা।
দীর্ঘ ২০ মাস পর গত ১৬ নভেম্বর থেকে খুলেছিল স্কুল,কলেজ। কোভিডের চোখ-রাঙানিতে জানুয়ারির প্রথমে আবার বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজ। বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় স্কুল-কলেজের দরজা খুলেছে পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় স্কুলের ক্লাস রুমগুলিকে কার্যত খাঁ খাঁ করতে দেখা গেছে। পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।
বাঁকুড়ার পূরন্ধরপুর হাইস্কুলে এদিন ৩০০ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জন পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর গার্লস হাইস্কুলেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। এই স্কুলে প্রথম দিনে মাত্র ২৬ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। শেষে পড়ুয়াদের স্কুলমুখি করতে নিজেরাই উদ্যোগ নেন এই সমস্ত স্কুলের শিক্ষকরা। অনুপস্থিত পড়ুয়াদের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিবাবকদের পাশাপাশি পড়ুয়াদের বোঝান স্কুলের মাস্টার মশাইরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলেই দেখা গিয়েছে এই ধরনের ছবি।
অন্যদিকে, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার নিয়ে চিন্তিত উপাচার্যরা। এ নিয়ে তাঁরা উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা যাচ্ছে। কেন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম তা খতিয়ে দেখবে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এদিকে, পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতির হার স্কুল কলেজগুলোতে ছিল চোখে পড়ার মতো। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এদিন স্কুল কলেজগুলোতে দেখা গিয়েছে।