লক্ষাধিক টাকা, একে ৪৭ রাইফেল ও গুলিগোলা নিয়ে গা ঢাকা দিলেন এক মাওবাদী নেতা। ঝাড়খণ্ডের সিপিআই (মাওবাদী)–এর তরফে ওই মাও নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়ার ফতোয়াও জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মাও নেতার প্রেমিকাও মাওবাদীদের ডেরা করে উধাও হয়ে গিয়েছেন। প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়েই ওই মাও নেতা পালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সিপিআই (মাওবাদী)–এর দক্ষিণ জোনাল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পলাতক ওই মাও নেতার নাম মহারাজ প্রামাণিক ওরফে রাজ। মহারাজের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা–খড়সোওয়া জেলার ইছাগড়ের দারুদা গ্রামে। মাও নেতা রাজ ৪০ লাখ টাকা, একে ৪৭ রাইফেল, ১৫০ রাউন্ড, গুলি, একটি নাইন এম এম পিস্তল, মোবাইল, ট্যাব ও ওয়াকিটকি নিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে মাওবাদী স্কোয়াড ছেড়েছে প্রেমিকা বেলুন সর্দারও। মাও নেতা মহারাজের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডেই ২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন মহারাজ। কিন্তু ২০০৮ সালে দু'বার তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। ২০০৯ সালে মাওবাদী বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে মহারাজ দক্ষিণ জোনাল কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিলেন। গোয়েন্দাদের দাবি, ২০১৯ সালে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে যে নাশকতা চালানো হয়েছিল তাতে মূল পাণ্ডা ছিলেন এই মাও নেতা।
মাওবাদীদের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২২ জুন তৃতীয়বারের জন্য স্কোয়াড ছেড়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন মহারাজ প্রামাণিক ওরফে রাজা। এরপর ২৬ জুই সে স্কোয়াডে ফিরে আসেন। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব স্কোয়াডকে শেষ করতে চেয়েছিলেন। পার্টির যখন সন্দেহ দানা বাঁধে, তখন প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। পার্টি কমরেডদের হত্যা করে টাকা পয়সা লুঠপাট করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মহারাজ।