মাঝেমধ্যেই জঙ্গলমহল ও সংলগ্ন এলাকায় মাওবাদী লেখা পোস্টার উদ্ধার করা হচ্ছে। সম্প্রতি বনধের ডাক দিয়েও পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। ল্যান্ডমাইনও উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় এলাকা থেকে। কিন্তু জঙ্গলমহলে সত্যিই কি ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদীরা? নাকি মাওবাদীদের নাম করে অন্য কেউ এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে?
তবে জঙ্গলমহলে মাওবাদীর অস্তিত্ব কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। তিনি জানিয়েছেন জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই। বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ পাঁচজন তৃণমূল নেতা বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যদি মাওবাদীই না থাকে তবে কীসের আতঙ্ক? কেনই বা তাঁরা বাড়তি নিরাপত্তা চাইলেন? কেনই বা জঙ্গলমহলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হল?
এনিয়ে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির দাবি, ওদের একজন করে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। তাদের ছুটিছাটা আছে। সেকারণেই বাড়তি রক্ষী চেয়েছেন। তবে পুলিশ যে তৎপর জঙ্গলমহলে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির পালটা দাবি, বিজেপি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে ওরা ধরছে না কেন? আসলে তৃণমূল নেতারা গরিব মানুষের জিনিসপত্র লুঠ করেছে। মানুষ ক্ষেপে আছেন। সেকারণেই ওরা বাড়তি নিরাপত্তা চাইছেন।