সব আয়োজন একেবারে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আলোয় ঝলমল করছে প্যান্ডেল। তার সঙ্গেই বাজছে সানাই। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানার লাউদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাই গ্রামের বিষ্ণুপদ ঘোড়াইয়ের মেয়ের বিয়ে। পাত্রের বাড়ি পাশের গ্রাম টাটকাপুরে। দেখাশোনা করেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের দিনই আসল ঘটনা।
পাত্র আসার জন্য অপেক্ষা করছেন পাত্রীর বাড়ির লোকজন। এই হয়তো এসে পড়লেন বর। কোথাও কোনও ত্রুটি নেই তো? আচমকাই বিয়ে বাড়ির সামনে এসে থামল একটি গাড়ি। কিন্তু এই গাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো নয়। কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন পাত্রীর বাড়ির লোকজন। আর গাড়ি থেকে যাঁরা নামলেন তাঁদের দেখে একেবারে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠেন পাত্রীর আত্মীয়রা।
গাড়ি থেকে নেমেছিলেন মারিশদা থানার ওসি ও বিডিও। সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা। আর তাঁদের দেখে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় পাত্রীর বাড়ির লোকজনের। পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকরা জানতে চান মেয়ের বয়স কত? পাত্রীর বাড়ির লোকজন আমতা আমতা করে জানিয়েই দেন পাত্রীর বয়স ১৫ বছর। এরপরই প্রশাসন জানিয়ে দেন নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যাবে না। বিষয়টি মেনে নেয় বাড়ির লোকজন।
এদিকে ততক্ষণে বিয়ে করার জন্য় রওনা দিয়েছেন বর। মাঝপথেই খবর পান বিয়েবাড়িতে পুলিশ এসেছে। আর ঝুঁকি নেননি তিনি। মাঝপথেই গাড়ি ঘুরিয়ে পগার পার নতুন বর।