আজ, বুধবার বোলপুরের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আগুন লাগল। সেই আগুন নেভাতে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়েছিল। কিন্তু তাতে আগুন নেভাতে পারেনি। বরং দাউদাউ করে জ্বলছে ব্যাঙ্ক। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলের ওই ব্যাঙ্কে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে খবর। এখানেই তথ্যের খোঁজে দু’বার হানা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই তদন্ত চলাকালীন এই অগ্নিকাণ্ড অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। তাহলে কী আর অনুব্রতর নথি মিলবে? উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী ঘটেছে বোলপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এটা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এখানেই গরু পাচার মামলার টাকা জমা হয়েছিল কিনা তা জানতে এসেছিল সিবিআই। একাধিক নথি পর্যন্ত দেখতে চেয়েছিল। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কে অগ্নিকাণ্ডের জেরে পোড়া গন্ধের মধ্যেও অন্য গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। যদিও এই বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে ব্যাঙ্কে আগুন লাগল সেটাও স্পষ্ট নয়।। আদৈ আর কোনও নথি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই বলে দাবি। সেই দাবি তারা আদালতে পেশ করেছিল। আর এই দাবির সপক্ষে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে খোঁজ করতে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে হানা দেন। তার মধ্যে এই ব্যাঙ্কটি রয়েছে। সেখানে আগুন লেগে যাওয়ায় বহু নথি নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে আবার সিবিআই আসার কথা ছিল। সেখানে নথি তাঁরা পাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী তথ্য পেয়েছিল সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, এই বেসরকারি ব্যাঙ্কে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। আর সেখানে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছিল। তবে সেখান থেকে একাধিক নথি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে কোনও নথি পাওয়া দুষ্কর। যেদিন অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে মেয়ে সুকন্যাকে জেরা করেছিল সিবিআই, সেদিন একটি টিম এই ব্যাঙ্কে নথির খোঁজে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই ব্যাঙ্কে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনেরও একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।