বেনারসে থাকা কোচবিহারের দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই সম্পত্তি ধ্বংস করছে। নিজের ফেসবুক পোস্টে কোচবিহার কালীবাড়ির দুটি ছবি তুলে ধরেন। একটি পুরনো ছবি এবং অন্যটি নতুন ছবি। তিনি বলেন, ওই কালীবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের নামে তা ধ্বংস করছে মমতা সরকার।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘পুরনো কালীবাড়ির নকশা থেকে শুরু করে স্থাপত্য পুরোটাই বদলে গিয়েছে। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার নামে নৃশংস হত্যা ছাড়া আর কিছু নয়।’ এই অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তিনি কোচবিহার জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। মিহির গোস্বামী জানিয়েছেন, ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গে একটি স্বাধীন জেলা হিসেবে কোচবিহারকে মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০১১ সালে মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোচবিহারের কালীবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণ না করে কালীবাড়িটি পুরো নষ্ট করছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা হলেই সঠিক কথা বলা যায় না। অনেকে ভাবছেন বিরোধীদলের নেতা বলেই তিনি সঠিক কথা বলছেন। কিন্তু, বেনারসের এই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর তৎপরতায় ট্রাস্টের জমি দখল করে সেখানে একটি আঁখড়া তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই জায়গাটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।’