কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। ইন্টারনেটে ভাইরাল এই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে নদিয়ার শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশের গোস্বামী শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে রয়েছেন। পাশে সোফায় বসে রয়েছেন অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই গেয়েছেন ব্রজকিশোরবাবু।
রাজ্য বিজেপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক ও অধ্যক্ষ দু’জনেই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে রয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। যদিও এই নিয়ে বিতর্ক অমূলক বলে দাবি করেছেন তিনি। ব্রজকিশোরবাবু বলেন, আমি কলেজে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। তখন অধ্যক্ষ ও সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা আমাকে ওই চেয়ারে বসতে অনুরোধ করেন। বারবার অনুরোধ করায় আমি তা ফেলতে পারিনি। আমি কাউকে সরিয়ে তার চেয়ারে বসিনি। কেউ যদি নিজে তার চেয়ারে কাউকে বসতে অনুরোধ করে তাহলে সে বসতে পারে। এর মধ্যে আমি কোনও অন্যায় দেখছি না।
শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিধায়ক যেদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সেদিন আমার ঘরের এসিটা ঠিক মতো কাজ করছিল না। বিধায়ক গরমে খুব অস্বস্তি বোধ করছিলেন। আমার ঘরের ফ্যানটা যে হেতু আমার চেয়ারের ওপরে তাই তাঁকে ওই চেয়ারে বসতে অনুরোধ করি। তবে প্রকাশিত ছবিতে ব্রজকিশোরবাবুকে খুব একটা অসুস্থ বা কাহিল বলে মনে হয়নি।
এই নিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তৃণমূলের জমানায় নেতা-মন্ত্রী-গুন্ডা-বদমাস পুলিশের চেয়ারে বসে থাকে। আর পুলিশ টেবিলের তলায় লুকায়। স্কুল কলেজগুলোকে তৃণমূল নেতারা পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে ফেলেছেন।’