বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Suicide in Burdwan: বর্ধমানে আত্মঘাতী মা ও দুই মেয়ে, তদন্তে পুলিশ

Suicide in Burdwan: বর্ধমানে আত্মঘাতী মা ও দুই মেয়ে, তদন্তে পুলিশ

ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব ছবি

একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়-সহ বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন ওই বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে এসে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান।

মর্মান্তিক ঘটনা। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল একই পরিবারের ৩ জন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের কালনা রোডে পীরপুকুর এলাকায়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মা এবং দুই মেয়ে। মৃতদের নাম হল মা মৃণালিনী চৌধুরী (৭০), মেয়ে বন্দিতা চৌধুরী (৪০) এবং ছোট মেয়ে শঙ্খমিতা চৌধুরী (৩৪)। ওই বাড়ি থেকে মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়ে তিনজনে আত্মঘাতী হয়েছেন।

একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়-সহ বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন ওই বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে এসে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান। বাড়ির পরিচারিকা রূপালি হালদার জানান, সকালে তিনি কাজের জন্য ওই বাড়িতে আসেন। কিন্তু কলিং বেল বাজানোর পরেও কারও সাড়াশব্দ পাননি। তাই দু-ঘণ্টা ধরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর প্রতিবেশী এক যুবককে তিনি বিষয়টি জানান। দরজা বন্ধ থাকায় ওই যুবক ব্যালকনি দিয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। তখনই দেখতে পান ঘরের ভেতরে তিনজন অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

চৌধুরী বাড়িতে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতবাক সকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সাউ। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে আমরা জানি না। তবে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে শুনেছি। ওই বাড়িতে ওরা তিনজনই থাকতেন। দেখে মনে হয়েছে ওনারা আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ আমরা কিছুই জানি না।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা জানিয়েছেন, ‘আমরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন সেরকমভাবে মেলেনি। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।’ এখনও পর্যন্ত খুনের সেরকম প্রমাণ মেলেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন