বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > অন্যদের বিরক্ত করে, শিকলে দুই সন্তানকে বেঁধে রাখেন মা, কবে মিলবে মুক্তির স্বাদ?

অন্যদের বিরক্ত করে, শিকলে দুই সন্তানকে বেঁধে রাখেন মা, কবে মিলবে মুক্তির স্বাদ?

কবে এমন করে মুক্তির স্বাদ পাবে ওরা(প্রতীকী ছবি)

তাঁদের দাবি. দুটি সন্তানই মানসিক ভারসাম্যহীন। ইচ্ছা করে না ওদের বেঁধে রাখি।

বাবা অভিজিৎ রায় ভ্যান টেনে কোনওরকমে সংসার চালান। আর মা সোমা রায় নেহাতই গৃহবধূ। অভাবের সংসার। অভিজিৎ-সোমার দুই সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ে। সেই দুই সন্তানকেই শেকলে বেঁধে রাখেন বাবা মা। তাঁদের দাবি. দুটি সন্তানই মানসিক ভারসাম্যহীন। ইচ্ছা করে না ওদের বেঁধে রাখি। কিন্তু করারও তো কিছু নেই। ওরা জলে পড়ে যায়। আগুনে পুড়ে যায়। আশপাশের শিশুদের ঠেলে দেয়। বাধ্য হয়েই শিকলে আটকে রাখি ওদের। পশ্চিমমেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার হরিরামপুরের ঘটনা।

যন্ত্রণা বুকে চেপেও দুই সন্তানকে এভাবে শেকলে বেঁধে রাখন তাঁরা। আর পাঁচটা বাচ্চা যখন খেলে বেড়ায় পাশের মাঠে তখন ওই শেকলবন্দি অবস্থায় ঠায় বসে থাকে ছোট্ট দুটি প্রাণ। ছেলের বয়স ৮ আর মেয়ের বয়স ১০ বছর। অভিভাবকদের দাবি, চিকিৎসকদের দেখিয়েছি। কিন্তু ওরা জবাব দিয়ে দিয়েছে।ওদের চিকিৎসা করিয়ে কথা বলানো সম্ভব নয়। আমরা ওদের নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছি। বড্ড অসহায় শোনায় বাবা মায়ের গলা। 

তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা প্রশাসনের কানে গিয়েছে। ব্লক অফিসের তরফে শিশুদুটির সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য় কর্মীদেরও ওই বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির জন্য আগে থেকে হাজার টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে। ছেলেটিকেও মানবিক প্রকল্পের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের শেকল মুক্ত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে আর্থিক কারণে শিশুদুটির উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে অপারগ ওই পরিবার। সেক্ষেত্রে বাস্তবে কবে মুক্তির স্বাদ পাবে ওই দুই শিশু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।  

 

বন্ধ করুন