ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মৃতদেহের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু শুক্রবার তেমন কিছুই দেখা গেল না ময়নার বাকচায়। বাকচার গোড়ামহল গ্রামে শান্তিতেই সম্পন্ন হল বিজেপির প্রয়াত বুথ সভাপতির শেষকৃত্য। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজয়কৃষ্ণবাবুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তার পর এক এক করে কেটেছে চারটে দিন। গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ১ জন। ওদিকে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিজয়কৃষ্ণবাবুর দেহের ফের ময়নাতদন্ত হয় কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে। সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে রওনা হয় দেয়। গভীর রাতে দেহ পৌঁছয় বকচায়।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। একে একে গ্রামে পৌঁছতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। পৌঁছন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। বাড়িতে দেহ পৌঁছতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলারা। এই হত্যাকাণ্ডে ফের একবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নিহতের মেয়ে। তিনি বলেন, বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের শ্মশানে। সেখানে কাঠের চিতায় দাহ করা হয় বিজয়কৃষ্ণবাবুর দেহ।
বৃহস্পতিবার বকচায় মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পর তিনি বলেন, এই বাকচার মাটি থেকেই নতুন গণআন্দোলন শুরু হবে। ওদিকে বিজেপি এই হত্যাকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, উন্নয়নের থেকে নজর ঘোরাতে এই পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।