সাগরদিঘিতে হারের কারণ কী? তা খুঁজে বার করতে শনিবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সব বিধায়কদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। এর আগে একটি বৈঠক করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বৈঠকে সব বিধায়করা না থাকায় ফের শনিবার একটি বৈঠক ডেকেছেন। সাংসদ চিকিৎসার জন্য বর্তমানে হায়দরাবাদে। সেখান থেকে ফিরে তিনি বৈঠকে করবে।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর প্রশ্ন উঠেছিল, মুসলিমরা কি দূরে সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের থেকে? খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই এই প্রশ্ন করেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সংখ্যালঘুদের মন জানতে ওই বৈঠকে একটি কমিটিও তৈরি করে দেন মমতা। যে কমিটিকে চার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, আখরুজ্জামান এবং গোলাম রব্বানি। এছাড়া রয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হুসেন। জঙ্গিপুরের সাংসদকে ওই কমিটিতে রাখা হয়নি।
তিনি মনে করেছেন, মুসলিমরা তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। তাঁর মতে, ভোটে হারের কারণ মূলত অন্তর্ঘাত। সেই অন্তর্ঘাতে পিছনে কারা রয়েছে তা খুঁজতেই শনিবার বৈঠক বলে তিনি জানিয়েছেন। সংখ্যালঘুর মন খুঁজতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, সেই কমিটি কতটা সত্য বের করে আনতে পারবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খলিলুর রহমান।
সাগরদিঘিতে হারে আরও একটি কারণ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের 'অনৈতিক' জোটকে চিহ্নিত করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের সাংসদ বলেন,'গণতন্ত্রে তো হার জিত লেগে থাকে। সাগরদিঘিতে আমরা হেরেছি। এখানে একটি অনৈতিক জোট হয়েছে। যার তীব্র নিন্দ আমরা করছি। '