প্রণয়ের প্রস্তাবে নারাজ হওয়ায় নিজের ভাইঝিকে গলা কেটে খুনের পর আত্মঘাতী হলেন কাকা। বুধবার সকালে ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুরে। বুধবার রাতেই হাওড়ার জয়পুর থানার কাশমলিতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার সকালে নিজের ভাইঝি তৃষা বাগকে (১৭) প্রণয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় খুন করে আনন্দ বাগ (৩০) ওরফে অজিত। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। বুধবার রাতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তৃষার পিছনে লেগে ছিল সম্পর্কে কাকা আনন্দ। তাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করত সে। এই নিয়ে তৃষার বাবা তাঁকে সাবধানও করে। কিন্তু কানে তোলেনি আনন্দ। সালিশি সভা বসে। সেখানে ক্ষমা চায় আনন্দ। কিন্তু তার পরও আদাজল খেয়ে পড়ে ছিল তৃষার পিছনে।
বুধবার সকালে তৃষা গৃহশিক্ষকতা করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর পথ আটকায় আনন্দ। এর পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলায় কোপ মারে। কোপের অভিঘাতে তৃষার মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালায় সে।
আনন্দর কঠোর সাজার দাবিতে সরব হয়েছিল গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তের আত্মহত্যায় সেই সুযোগ আর রইল না।