আলিপুরদুয়ারের শালকুমারহাট হাইস্কুল। প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল। দিনকয়েক হল স্কুল খুলেছে। দীর্ঘদিন পরে বৃহস্পতিবার ক্লাসরুমে বসেছিল ছাত্রীরা। আচমকাই চোখ যায় স্কুলের উঠোনে।প্রথমে বিশ্বাসই করতে চায়নি ছাত্রীরা। স্বপ্ন দেখছি নাকি। একেবারে ময়ূরের দল এসে হাজির স্কুলে। এই ছবি দেখে হতবাক ছাত্রীরা। এদিকে শালকুমারহাট বাজারের মধ্যেই এই স্কুলটা। এর মধ্যে ময়ূর এল কীভাবে?
তবে বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে জলদাপাড়া বনাঞ্চল রয়েছে। জঙ্গল কাছে হলেও এভাবে লোকালয়ে দল বেঁধে ময়ূরের আনাগোনা বিশেষ দেখা যায় না। সেটাও আবার স্কুল চত্বরে! খানিকটা অবাকই হয়েছিল ছাত্রীরা। ছাত্রীরা জানিয়েছেন চারটি ময়ূরকে একসঙ্গে দেখা যায় স্কুলের উঠোনে ঘুরতে। এরপর তারা ক্লাসঘরে চলে আসে। টেবিলে, বেঞ্চেও ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। বারান্দায় রীতিমতো টহলদারি শুরু করে ময়ূরগুলি। ভাবখানা এমন যেন এতদিন তো আমরাই এখানে আসতাম। হঠাৎ করে কেন এত মানুষ এখানে চলে এল? তবে বেশ কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর ময়ূরগুলি নিজেরাই চলে যায়।
বাসিন্দাদের দাবি,প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল। পড়ুয়াদের যাতায়াত ছিল না। আর সেই নিরিবিলিতেই স্কুল চত্বরে বেড়াতে আসার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল ময়ূরের দলের। কিন্তু শিক্ষাদফতরের নির্দেশে স্কুল যে খুলে গিয়েছে এটা ঠিক বুঝতে পারেনি ওরা। সেকারণেই স্কুলে চলে এসেছিল ওরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভুল ভাঙে তাদের। এরপর স্কুল চত্বর থেকে ধীরে ধীর চলে যায় তারা।