পোর্টালে শুরু হচ্ছে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন, বিজ্ঞপ্তির দাবি শিক্ষকদের

শিক্ষকদের বদলির পোর্টালে Mutual Transfer অপশন খুললেও বিজ্ঞপ্তি চাইছেন শিক্ষকরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

পুনরায় চালু হতে চলেছে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া। বদলি নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ‌শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত পোর্টালে অনলাইন ‌‘‌মিউচুয়াল ট্রান্সফারের’‌ জন্য আবেদনের অপশন খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের বদলির পোর্টালে এই প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।

শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত পোর্টালে ‘‌সেলফ ইনিশিয়েটিভ’‌ বলে একটি অপশনে সাধারণ বদলি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তবে তাঁদের দাবি, সেখানে অনেকেই আবেদন করেছেন। তাঁরা নিজেদের ইউনিক আইডি ও প্যান নম্বর দিয়ে অপশন খুলে ম্যাচিং পার্টনার পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা চাইছেন এই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুক শিক্ষাদফতর।

অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‌বিকাশভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও কমিশনারকে বদলি প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করার দাবির পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানানোর জন্যে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে।

ওদিকে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‌এই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য আবেদনের ভিত্তিতে অনলাইন ট্রান্সফার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হোক।’

‌প্রসঙ্গত, শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবি, শেষ বদলি হয়েছিল ২০১৪ সালে। সে বছর কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের স্কুলের সাধারণ বদলি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বদলি হওয়ার সুযোগ মিললেও অধিকাংশ শিক্ষকদের বদলি হয়নি। তখন থেকে তাঁরা পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু ৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও স্পেশাল ট্রান্সফার বাদে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায়, হতাশায় ভুগছিলেন তাঁরা। তবে গতবছর অক্টোবরে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যেয় অনলাইনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার পোর্টাল চালু করলেও নানা সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারা আবেদন করতে পারেননি। আর যে শিক্ষকরা এই পোর্টালে আবেদন করতে পেরেছিলেন, দীর্ঘ আট মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও তাঁদের বদলি হয়নি।