সচিবদের পর এবার সরকারের কোপে বিডিওরা। ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের ৫ বিডিওকে শো কজ করল নবান্ন। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি শো-কজের চিঠি ধরানো হয়েছে ৪ জেলার ৫ জন বিডিওর হাতে। সরকারের দাবি, আমফানের জন্য বরাদ্দ ত্রাণ বণ্টনে স্বজনপোষণ ও কারচুপি করেছেন তাঁরা। ত্রাণ পেয়েছেন বিডিও ও পঞ্চায়েত ঘনিষ্ঠরা। এক্ষেত্রে স্বজনপোষণের জন্য সরাসরি বিডিওদের দিকে আঙুল তুলেছে নবান্ন।
তবে দুর্নীতির দায়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের নজির নতুন নয়। গত এপ্রিলে শাসকদল তৃণমূল ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সরিয়ে দেওয়া হয় খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রের কাছে মৃতের সঠিক তথ্য পাঠিয়ে দেওয়ায় অপসারণ করা হয় রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিবেক কুমারকে।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণ বিলিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতির জন্য সরকারি ২০,০০০ টাকা নিয়ে ব্যাপক স্বজনপোষণ চলছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিরোধীদের অভিযোগ যে অমূলক নয়, তারও প্রমাণ মিলেছে এতদিনে। সম্প্রতি আমফানের ত্রাণ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় হুগলির গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ সিংকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।