ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই ঘুমিয়ে আছে পাহাড়ি গ্রাম বাগোরা। কার্শিয়াং থেকে খুব কাছে শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রাম। দুদিনের ছুটি পেলেই ঘুরে আসতে পারেন বাগোরা। চার কিমি দূরে আছে চিমনি গ্রাম। সেখানে আবার ইতিহাস আর প্রাকৃতির সৌন্দর্য্যের এমন মিলনক্ষেত্র বাংলায় খুব কমই আছে। তবে আজ শুধুই বাগোরার কথা। বৃষ্টির মধ্যে এই গ্রাম যেন আরও রূপবতী। যৌবনে ভরপুর ঘুমন্ত পরী।
বাগোরা কার্শিয়াংয়ের নির্জন গ্রাম। কার্শিয়াং পাহাড়ের প্রায় ৭ হাজার ১৫০ ফুট উচ্চতায় থাকা গ্রাম। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। সবথেকে বড় কথা শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে শান্তির গ্রাম।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস, দার্জিলিং মোড়, এনজেপি অথবা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে বাগোরা যাওয়ার গাড়ি পাবেন। শহর শিলিগুড়ি ক্রমশ ঘিঞ্জি হয়ে গিয়েছে। সেই শহর ছাড়িয়ে গাড়ি যাবে মেঘরাজ্যের দিকে। বৃষ্টিভেজা রাস্তা, সদ্য স্নান করে উঠে আসা সবুজ পাহাড়। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। রাস্তার দুপাশে চা বাগান। গাড়ি যত এগোবে দেখবেন পাইন গাছের বন। মন ভালো হয়ে যাবে। দিলারাম হয়ে যেতে হয় বাগোরা। কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১৭ কিমি দূরে বাগোরা। পাখির ডাক, পাইন আর ওকের বন একেবারে মন ভালো করে দেওয়া রূপ।
তবে বাগোরাতে হোমস্টের সংখ্যা সেভাবে উল্লেখযোগ্য নয়। আগে থেকে খোঁজখবর নিয়ে গেলে সমস্যা নেই। সরকারি একটি গেস্ট হাউজও আছে। এখান থেকে চার কিমি দূরে আছে চিমনি বলে ছোট্ট একটা গ্রাম। সেই গ্রামের কথা অন্য একদিন হবে। এবার প্ল্যান করে বেরিয়ে পড়ুন বাগোরা।