হড়পা বানে মাল নদীতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। ভেসে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা এখন সেখানে বাড়তে শুরু করেছিল। ঘটনাস্থলে সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ৮ জন। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের পক্ষ থেকেই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের দাবি, উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীই ছিল না। ছিল শুধুই দড়ি। তার সঙ্গে ওই ঘাটের দায়িত্ব যে অফিসার ছিলেন, তিনিও অন ডিউটিতে কাজ ফেলে চলে গিয়েছিলেন আত্মীয় বাড়িতে!
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? এই ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন এনডিআরএফ কর্তা পল্লববিকাশ মজুমদার। তিনিই ওই ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারের ওই অভিশপ্ত ঘাটের অদূরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বলছিলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী৷
ঠিক কী বলছেন এনডিআরএফ অফিসার? অভিযোগ উঠেছে এনডিআরএফ কর্তা পল্লববিকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে পল্লববিকাশ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে সাফাই দেন, ‘সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা যে যাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অফিস আমাদের সামনেই ছিল। দুর্ঘটনার পর যেটা প্রথম প্রয়োজন, সেটা হল সার্চ লাইট। সেটা আনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কাল আমি প্রথমদিকে ছিলাম। দুর্ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম না, তার আগে পর্যন্ত ছিলাম। বিসর্জনের শুরু থেকেই তদারকিতে ছিলাম৷ মাঝে একবার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম৷ আমার এক আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ।’
উল্লেখ্য, কর্তব্যরত থাকাকালীন যে তিনি ঘাট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করতেই স্থানীয়দের অভিযোগে সিলমোহর পড়ল। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেটা এবার প্রমাণিত হল। দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় আচমকা হড়পা বানে মাল নদীতে বহু মানুষ আটকে পড়ে৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ নিখোঁজ আরও অনেকে। ভারী বৃষ্টির জেরে আজ সকাল থেকে শুরু করা যায়নি উদ্ধারকাজ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷