ভিনধর্মে বিয়ে করায় মেনে নেয়নি কনের পরিবার। তাই করা হয়নি অনুষ্ঠানও। সেই আক্ষেপকে উজ্জাপনের রূপ দিলেন মুর্শিদাবাদের এক নবদম্পতি। ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভোজ খাওয়ালেন তাঁরা। আর পেলেন স্থানীয়দের ভূরিভূরি আশিস।
দিন কয়েক আগে আজিমগঞ্জের রানিতলার আখেরিগঞ্জের বাসিন্দা রেহানার সঙ্গে বিয়ে হয় জৈনপট্টির বাসিন্দা বাপনের। বাপনের বাড়ি থেকে রেহানাকে বউমা হিসাবে মেনে নিলেও রেহানার বাড়ি থেকে মেনে নেয়নি। ফলে ৮ বছরের প্রেম পরিণতি পেলেও অনুষ্ঠান করা হয়নি।
সেই আক্ষেপ মেটাতে স্থানীয় ২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দম্পতি। অনুমতি মিলতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিড ডে মিলের বদলে পড়ুয়াদের খাওয়ানো হয় পঞ্চব্যঞ্জন। মেনুতে ছিল, পোলাও, কষা মাংস।
দম্পতির এহেন উদ্যোগে ঢেলে আশীর্বাদ করেছেন স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা। গীতা ও কোরান হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের সুখী দাম্পত্য কামনা করেন এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিখা চক্রবর্তী বলেন, ‘ওরা পারিবারিক গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে সরল শিশুদের সঙ্গে নিজেদের আনন্দ ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন। আমি বাধা দিইনি।’ তাঁদের এই উদ্যোগ নিয়ে রেহানা বলেন, ‘বিভাজন তো বড়দের মধ্যে। ছোটরা তো এসব বোঝে না। আমরাও কোনও দিন বুঝিনি।’