বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > অভিষেকের কথায় ধরনা তুলে নিলে এতদিনে টেট আন্দোলনকারীদের চাকরি হয়ে যেত: নির্মল

অভিষেকের কথায় ধরনা তুলে নিলে এতদিনে টেট আন্দোলনকারীদের চাকরি হয়ে যেত: নির্মল

নির্মল মাজি। 

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিল সেদিন অভিষেকের কথা শুনে উঠে গেলে কবে এটা মিটে যেত। এমনকী দিদিও বলেছিলেন এদের চাকরি দিয়ে দেবেন।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে এতদিনে নিয়োগ পেয়ে যেতেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার বর্ধমানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল মাজি। তাঁর দাবি, সিপিএম আর বিজেপি মিলে চাকরিপ্রার্থীদের বিপথে চালনা করছে।

রবিবার বর্ধমানে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সভায় যোগ দেন নির্মলবাবু। সেখানে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিল সেদিন অভিষেকের কথা শুনে উঠে গেলে কবে এটা মিটে যেত। এমনকী দিদিও বলেছিলেন এদের চাকরি দিয়ে দেবেন। কিন্তু তারা শোনেননি। বামপন্থী আইনজীবীদের কথা শুনে তারা আদালতে গেল। এখন কোর্ট যা করার করবে। এখন মমতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।’

সঙ্গে তাঁর দাহি, ‘সিপিএম কথায় কথায় কেস দিচ্ছে আর বিজেপি পিছন থেকে টাকা সাপ্লাই করছে। এভাবেই চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হচ্ছে।’ এমনকী চাকরির দাবিতে আন্দোলনে পুলিশি গুলিচালনার প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। পুলিশকে ইট ছুড়ছে, পাথর ছুড়ছে। পুলিশ কিন্তু কিছু বলেনি। বামফ্রন্ট সরকারের জমানা হলে পুলিশ গুলি চালিয়ে দিত।’ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশূন্য হয়ে যাবে রাজ্য।

নির্মলবাবুর মন্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্যসভায় বাম সাংসদ তথা চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, নির্মলবাবুর মতো দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ যত কম কথা বলেন তত ভালো। উনি চিকিৎসক সমাজের কাছে কলঙ্ক। স্ত্রী, ছেলে, বউমা সবাইকে উনি দুর্নীতি করে চাকরিতে ঢুকিয়েছেন। ওদের দলের নীতিটাই হল দুর্নীতি। ওনারা চান দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চাকরি বাঁচিয়ে বাকিদের নিয়োগ দিতে। সেটা আমরা হতে দেব না'।

 

বন্ধ করুন