বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আবেগকে সমর্থন জানানোর বার্তা, 'পার্টি লাইন' লঙ্ঘন করে বারলার পাশে নিশীথ

আবেগকে সমর্থন জানানোর বার্তা, 'পার্টি লাইন' লঙ্ঘন করে বারলার পাশে নিশীথ

নিশীথ প্রামাণিক - দিনহাটা, বিজেপি। (ছবি সৌজন্য ফেসবুক)

পৃথক রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে জন বারলার পাশে দাঁড়ালেন উত্তরবঙ্গের আরও এক সাংসদ।

পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গের একের পর এক জপ্রতিনিধি সরব হচ্ছেন। বিজেপি সাংসদ জন বারলা উত্তরবঙ্গকে আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি জানানোর পর একাধিক বিজেপি বিধায়ক তাঁর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট দাবি, পৃথক রাজ্য নয়, বরং বিজেপি অখণ্ড রাজ্যের পক্ষে। এরপরও ক্রমেই পৃথক রাজ্য নিয়ে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবহে জন বারলার পাশে দাঁড়ালেন উত্তরবঙ্গের আরও এক সাংসদ।

বর্তমানে ৭ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার কোচবিহারের সাংসদকে তব করেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক সোজাসুজি বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন না করলেও ঘুরিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। পৃথক রাজ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নিশীথ বলেন, 'উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত বলেই এখন উত্তরবঙ্গবাসী এই দাবি তুলছেন।'

পরোক্ষ ভাবে এদিন জন বারলার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে নিশীথ বলেন, 'উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং লাঞ্ছিত। নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমাতৃসুলভ আচরণ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আমরা কখনওই ভেদাভেদের পক্ষে নই। আমরা সবসময় একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই এবং আমরা বরাবরই উন্নয়নের পক্ষে। তবে উত্তরবঙ্গবাসীর আবেগ এখন অন্য দাবি তুলছে। প্রশাসনিক পদে থেকে কিছু না বলতে পারলেও উত্তরবঙ্গবাসীর সেই আবেগকে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে আমাকে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোট-পরবর্তী হিংসার বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং সংসদের মধ্যে এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, 'উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রচুর মানুষ এখনও ঘরছাড়া। সেই বিষয়টি রাজ্যপালকে জানিয়েছি। ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তৃণমূলের ক্যাডার এবং পুলিশ এখনও মানুষের উপরে অত্যাচার করে চলেছে।'

 

বন্ধ করুন