যাত্রী তোলা নিয়ে দু'টি বাসের চালকের মধ্যে বচসা এবং মারপিট। তার জেরে এক চালককে বাস চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল অন্য এক চালকের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বারাসতের ময়না চেকপোস্টের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ দুটি বাসকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে । এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করেই বচসার সূত্রপাত। মৃত বাসচালকের নাম কমল সরকার। তিনি বহরমপুরের বাসিন্দা। তিনি কলকাতা বহরমপুর রুটের বাস চালাতেন। সোমবার তিনি বাসে যাত্রী বোঝাই করে যাওয়ার সময় বারাসাতের কাছে এসে বাসটি খারাপ হয়ে যায়। ফলে বাসের যাত্রীরা নেমে যান। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল করিমপুরগামী বাস। করিমপুরগামী বাসের চালক যাত্রী তোলার জন্য বহরমপুরগামী বাসের কাছেই গাড়ি থামিয়ে দেন। ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর জন্য যাত্রীরা করিমপুরগামী বাসে উঠে পড়েন। মূলত এই নিয়ে শুরু হয় বচসা।
স্থানীয়দের বক্তব্য, করিমপুরগামী বাসে বহরমপুরগামী বাসের যাত্রীরা উঠে পড়লে দুই চালকের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। এরপর তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় বহরমপুরগামী বাসের চালক কমলবাবু করিমপুরগামী বাসের হাতল ধরে ছিলেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তখনই বাস ছেড়ে দেন করিমপুরগামী বাসের চালক। ঘটনায় বাস থেকে ছিটকে চাকার নিচে পড়ে যান তিনি। তখনই বাসের চাকা তাকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাস চালকের। এদিকে, খাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। করিমপুরগামী বাসের চালক এবং খালাসী দুজনেই ততক্ষণে চম্পট দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় ভিড় জমে। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।