অ্যাম্বুলেন্স চালককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আত্মঘাতীর সুইসাইট নোটে ওই জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নদিয়ার তাহেরপুরের কালিনারায়ণপুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আট বছর ধরে কালিনারায়ণপুরে অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন উত্তম বিশ্বাস নামে কামাগাছি এলাকার এই বাসিন্দা। অ্যাম্বলেন্স চালিয়ে কমিশন হিসাবে যা পেতেন, তা দিয়েই তাঁর সংসার চলত। পঞ্চায়েতের নির্দেশে বেশ কয়েক মাস ধরে সেই কমিশন দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। এরফলে প্রচণ্ড অসুবিধার মধ্যে পড়েন উত্তমবাবু। এরইমধ্যে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা চেয়ে চাপ দিতেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা জানকী দাস। শেষ পর্যন্ত আর চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজের বাড়িতেই কীটনাশক খেয়ে ফেলেন উত্তমবাবু। এরপর উত্তমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স চালকের পরিবারের সদস্যদের তরফে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অ্যাম্বুলেন্স চালকের আত্মহত্যা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, মৃতের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাঁর পারিবারিক সমস্যা ছিল। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।