উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুব তৃণমূল নেতার কাছ থেকে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিও তৃণমূলেরই লোক বলে পরিচিত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা যুব তৃণমূল নেতা আরজাউল হক উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য ২০১৯ সালে তিন দফায় সাড়ে ১৪ লাখ দিয়েছেন। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও এখনও কোনও চাকরি পাননি। অন্য দিকে টাকা ফেরতও পাননি তিনি। যাকে টাকা দিয়েছেন, সেই মহিদুর রহমান ওরফে বাদল বারবার তৃণমূল নেতা আরজাউলকে হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন। আরজাউলকে কথায়, ‘মহিদুর তৃণমূল করেন। সেই সূত্রেই আমার সঙ্গে মহিদুরের পরিচয়।’
এই ঘটনা সামনে আসার পর তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান, ‘আসলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার শিল্প বানিয়েছে তৃণমূল। ওরা নিজের দলের লোকেদের কাছ থেকেও টাকা নিচ্ছে।’ তবে তৃণমূল যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখছে, সেকথা বুঝিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, ‘চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিলে তার কোনও দলীয় পরিচয় দেখা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।’