একুশের বিধানসভা ভোট এবং গত পঞ্চায়েত ভোটে পেট্রোল পাম্প মালিকদের প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সেই টাকা মেটানোর দাবি জানালেন পাম্প মালিকরা। তাঁদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরাম রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই বিষয়টির সমাধানের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘মোদী ভাঁওতাবাজ’! আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
সাধারণত, প্রতিবারই ভোটের কাজের জন্য প্রচুর সংখ্যক সরকারি এবং বেসরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এরজন্য পেট্রোল পাম্পগুলি থেকে তেল বা লুব্রিক্যান্ট কিনে থাকে রাজ্য সরকার। গত বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজেও ব্যবহৃত গাড়ির জন্য পেট্রোল পাম্পগুলি থেকে জ্বালানি কিনেছিল রাজ্য। সামনে আবার একটি নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। তার জন্য ইতিমধ্যেই পেট্রোল পাম্পগুলিকে বার্তা দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু, আগের ভোটের জন্য ব্যবহার করা পেট্রোলের দাম রাজ্য সরকার মেটায়নি বলেই অভিযোগ তুলেছেন মালিকরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরামের বক্তব্য, গত নির্বাচন বাবদ কারও ১ লক্ষ টাকা আবার কারও ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বকেয়া আছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের, বক্তব্য ভোটের সময় তেলের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গেলে বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। সেইসঙ্গে, এ বারের তেলের জোগান নিশ্চিত রাখার জন্য ভোটের আগে দামের ৫০%-৭৫% টাকা আগাম দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই তেলে লাভাংশ্য কম থাকে। তারওপর এত বকেয়া রাখতে গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন।
জানা গিয়েছে, পেট্রোল পাম্পের মালিকদের কাছ থেকে চিঠি পেয়েই জেলশাসকেরা তেলের দাম মেটানো নিয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা বকেয়া টাকা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী।
অন্যাদিকে, এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পারায় রাজ্য সরকারকে দেউলিয়া বলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মতে, এতে বোঝা যাচ্ছে সরকারের যে সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে আগামী দিনে সেগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে।