জলের প্রবল চাপ। আর তার জেরেই ভেঙে গিয়েছিল অজয়ের বাঁধ। প্লাবিত হয়ে যায় আউশগ্রাম ২ ব্লকের সাঁতলা গ্রাম। অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। জমির ফসলও চলে গিয়েছে জলের তলায়। বাসিন্দাদের দাবি হিংলো জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরেই এই বিপত্তি। এদিকে অজয়ের বাঁধেই ত্রিপল টাঙিয়ে থাকছেন দুর্গতরা। সরকারি সহায়তাও তলানিতে। অভিযোগ দুর্গতদের। জেলা প্রশাসনের হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় অন্তত ২৩টি পঞ্চায়েত এলাকা দামোদর ও অজয়ের নদে প্লাবিত। প্রায় আড়াই হাজার কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে এর মধ্যেই জল কিছুটা নামতে শুরু করেছে। একে একে সামনে আসছে ভয়াবহ ক্ষতির ছবি। খরস্রোতা জলে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। ধসে গিয়েছে একের পর এক কাঁচা বাড়ি। তবে অধিকাংশ জমি এখনও জলের তলায়। জল নামার পরেও আদৌ ফসল কিছু পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে চাষিরা। এদিকে অন্তত ৮ জায়গায় অজয়ের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। মঙ্গলকোটেও ভয়াবহ অবস্থা। তবে এবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ত্রাণ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এসেছেন। দুর্গতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে জল পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা কোথায় থাকবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। বর্তমানে তাঁরা অস্থায়ী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সরকারি প্রকল্পে ঘর পান তার চেষ্টা চলছে।