শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। এই প্রথম বারুইপুর আদালতে POCSO আইনের ধারায় মামলায় মৃত্যুদণ্ডের নজির তৈরি হল। ধর্ষক আসগর আলি খাদি মুন্সারিকে (৩৮) সঙ্গে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই রায়কে নিয়ে বুধবার ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় বারুইপুর আদালতের আইনজীবীদের মধ্যে।
ঘটনা ২০১৯ সালের ১৫ জুলাইয়ের নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের। অভিযুক্ত আসগর নিহত শিশুটির বাবার সঙ্গে কাজ করতেন। শিশুটির বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তার। ঘটনার দিন আসগর ৬ বছরের ওই নাবালিকাকে বলে বাবা তোকে ডাকছে। এই বলে নাবালিকাকে কোলে নিয়ে স্থানীয় একটি পাঁচিল ঘেরা জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন আসগর। এর পর ওই জমির মধ্যেই একটি ঝোপে দেহ লুকিয়ে ফেলে সে। ওদিকে দীর্ঘক্ষণ মেয়ে ফিরছে না দেখে খুঁজতে বেরোন মা।
স্থানীয়রা তাঁকে জানান, শেষবার শিশুটিকে দেখা গিয়েছে আসগরের সঙ্গে। এর পর ওই জমির কাছে এসে শিশুটির মা দেখেন পাঁচিলে ঘেরা ওই জমিতে ঢোকার দরজায় তালা দেওয়া। চিৎকার করে মেয়েকে ডাকলে আসগর ভিতর থেকে জানায় শিশুটি অনেক্ষণ আগেই বাড়িতে ফিরে গিয়েছে। এর পরই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় আসগরও। আসগরের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
ঘটনার ৬ দিন পরে তাকে শিয়ালদা স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয় আসগর। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করেছে সে। তার পর দেহ লুকিয়ে রেখেছে ঝোপের মধ্যে। আসগরের দেখানো জায়গা থেকে ৬ দিন পর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পকসো আইনের ধারায় শুরু হয় বিচার। সঙ্গে যোগ হয় খুনের ধারা।
সেই মামলার রায়ে বুধবার ধর্ষক ও খুনি আসগর আলি খাদি মুন্সিকে ফাঁসির সাজা শোনান বারুপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সন্দীপ কুমার মান্না। সঙ্গে বিভিন্ন মামলায় আসগরকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন তিনি।