যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকা ভীষণ প্রয়োজনীয়। এই বিশ্বাসের ভীত যদি একবার নড়বড়ে হয়ে যায়, তাহলে কোনও ভাবেই সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কতটা বিশ্বস্ত বলে মনে হয় আপনার? আদৌ কি সে বিশ্বাসযোগ্য? আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর এই পাঁচটি লক্ষণ আপনাকে বলে দেবে উত্তর।
যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া: আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি হঠাৎ করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের মেয়াদ বেশিদিন নেই। এখন বেশিরভাগ কাপল ফোনের মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ফোনে কথা বলার সময় যদি কমে যায় অথবা কথা বলার সময় যদি আপনার কথার তিনি মন দিয়ে না শোনেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার প্রতি তার আগ্রহ কমেছে।
বিভিন্ন অজুহাত: আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনার সঙ্গে কথা না বলা অথবা দেখা না করার বিভিন্ন অজুহাত যদি খুঁজতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তিনি আর আপনার প্রতি বিশ্বস্ত নন। আপনার প্রতি তার আবেগ এখন অনেকটাই কমেছে।
তথ্য গোপন করা: ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড, অনলাইনের কার্যকলাপ লুকিয়ে রাখা, কল লগ মুছে দেওয়া, মেসেজ ডিলিট করে দেওয়ার মত কাজকর্ম যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী করেন তাহলে বুঝতে হবে তাকে অবিশ্বাস করার সময় এসেছে।
গোপনে আর্থিক লেনদেন: আপনাকে না জানিয়ে প্রয়োজনীয় অথবা অপ্রয়োজনে যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী গোপনে লেনদেন করতে থাকেন অথবা যথেচ্ছ অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে খরচ করেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি অন্য কোথাও বা কারোর উদ্দেশ্যে খরচ করছেন।
সাজসজ্জার পরিবর্তন: হঠাৎ করে যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী নিজের ফিটনেস অথবা সাজসজ্জা দিকে মনোযোগ দেন যা আগে দিতেন না, এমন ঘটনা ঘটলে বুঝতে হবে তিনি অন্য কারোর সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, উপরোক্ত বিষয়গুলি যদি আপনার নজরে আসে, সে ক্ষেত্রে খোলাখুলি কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় শুধুমাত্র সন্দেহের বশে একটি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।