চুপিসাড়ে ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চাও। কিন্তু রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে।এ খবর সত্যি নয়। ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার মাশুল সংক্রান্ত নতুন চার্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা কার্যকর হয়েছে এপ্রিল মাস থেকে। সেই চার্টকে ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দফতরের কর্তার দাবি করেছেন বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। ইউনিট পিছু মাশুল বাড়ানো হয়নি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবরে অযথা আতঙ্কিত হবেন না।
আরও পড়ুন। দফায় দফায় লোডশেডিং, প্রচারে মুখঝামটা খেতে হচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলরদের,CESC-কে চিঠি
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। তা ৭টাকা ১২ পয়সাই রাখা হয়েছে। তবে গ্রামীণ এলাকায় গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৩০০ ইউনিটে স্ল্যাবে মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে যা ছিল ইউনিট পিছু ৭টাকা ১২ পয়সা বতর্মানে তা করা হয়েছে ৭টা ৬১ পয়সা। গ্রামাঞ্চলে এর সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক বিদ্যুতের আলাদা কোনও মাশুল রাখা হয়নি। ফলে ৩০০ ইউনিটের উপর কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তাঁকে ২ পয়সা করে মাশুল দিতে হবে।
আরও পড়ুন। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা, পরিস্থিতি সামলাতে ১০০ দাওয়াই CESC'র
আরও পড়ুন। কোর্টের গুঁতোয় শিক্ষক কম, একাদশে ভরতির প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তায় অনেক স্কুল
লোকসভা ভোটের এই ভাবে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ রয়েছে বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সংবাদমাধ্যমকে বলেন,'লোকসভা ভোটের সময় কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এই ধরনের কাজ করছেন। এই ধরনের প্রচার আসলে রাজ্য সরকার ও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যে নতুন ট্যারিফ চার্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ইউনিট স্ল্যাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি। মাশুল বৃদ্ধিও হয়নি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ভাল করে খতিয়ে দেখলেই সত্যিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন। পদ্মার ইলিশ নাগালের বাইরে! এবার পুকুরেই চাষ হবে বাঙালির প্রিয় মাছ
আরও পড়ুন। চিকিৎসক পরিচয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল, জানা গেল পাত্র দুধ ব্যবসায়ী, তারপর…