এবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ পুলিশই। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানায় কর্মরত এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বিপদে পড়া এক মহিলাকে আইনি সাহায্য দেওয়ার নামে ধর্ষণ করেছে ওই কনস্টেবল বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই পুলিশ কনস্টেবলকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুর গ্রামীণের পলসা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পয়রা। তাঁর বিরুদ্ধেই এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই পুলিশ কনস্টেবল আনন্দপুর থানায় কর্মরত। এই কনস্টেবল মহিলাকে আইনি সাহায্য দেবে বলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী অভিযোগ নির্যাতিতার? নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, গত ২৪ মার্চ তাঁকে আইনি সাহায্য দেওয়ার নামে আনন্দপুরের একটি বাড়িতে নিয়ে যায় সঞ্জয় পয়রা। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনার পরই খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জয় পয়রা বিবাহিত। অভিযোগকারিণীকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার তাকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হয়। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঞ্জয় পয়রা। সঞ্জয়কে ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।