বাঁকুড়ার মানবাজারে দরজা বন্ধ ঘর থেকে এক অধ্যাপকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত অধ্যাপকের নাম তপন মুর্মু (৩৭)। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তি পুঞ্চা রামানন্দ সেন্টিনারি কলেজের সাঁওতালি ভাষার আংশিক সময়ের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অধ্যাপকের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার হিড়বাঁধ থানার অন্তর্গত চাকাডোবা গ্রামে। তিনি মানবাজারের মধুপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তবে প্রথমে সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি বাড়ির মালিক। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও ঘরের দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। এরপর পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ওই অধ্যাপকের দেহ উদ্ধার করে। তাঁকে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘরের দরজা ভেতর থেকে যেভাবে বন্ধ ছিল তাতে প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই খবর হয়েছে মৃত অধ্যাপকের বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই অধ্যাপক। তবে কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এ নিয়ে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অধ্যাপকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন ওই বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা । তবে আত্মহত্যা ছাড়াও এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।