বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে ঘরের বাথরুম থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম জগদীশ চন্দ্র মল্লিক (৭২)। পেশায় তিনি চালের ব্যবসায়ী। শনিবার রাত ১ টা নাগাদ ঘরের দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। যে অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে এটিকে খুন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনতলা বাড়ির দোতলায় একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধ। গতকাল রাত ১ টা নাগাদ বৃদ্ধের এক আত্মীয় দেখতে পান ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। অনেক ডাকাডাকির পরেও ঘরের দরজা না খোলায় দরজার নিচের ফাঁক দিয়ে দেখতে দেখতে পান ঘরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র লন্ডভন্ড রয়েছে। তখনই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন ওই আত্মীয়। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রিভা মন্ডল নামে এক প্রতিবেশী জানান, ‘খবর পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন মিলে ঘরের দরজা ভাঙতে যাচ্ছিল। কিন্তু, আমরা বারণ করেছিলাম। আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভাঙে।’
ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় আলমারি থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র লন্ডভন্ড রয়েছে। মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাথরুমের মধ্যে পড়েছিল ওই ব্যবসায়ী দেহ। ব্যবসায়ী দিদির অভিযোগ, ‘কেউ বা কারা আমার দাদাকে মেরে তার কাছে থাকা সমস্ত টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ঘরের আলমারি খোলা ছিল। সব লুঠপাট চালানো হয়েছিল। আমার দাদাকে যারা মেরেছে তারা ঠিক শাস্তি পাবে।’ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।