সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার প্রাক্কালে আবার অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল বাসন্তীতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কলাহাজরা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাসন্তী থানার রামচন্দ্রখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাহাজরা গ্রামে অভিযান চালায় বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং বাসন্তী থানার পুলিশ। তাতেই আসে সাফল্য। মাঝরাতে মোতালেব পুরকাইত নামে একজনের বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। আর বাড়ির মধ্যে থেকে ৭টি বন্দুক–সহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মোতালেব পুরকাইত ও তার এক সঙ্গী জয়নাল মোল্লাকে। ধৃতদের আজ, শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তবে এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। ২০১৯ সালে মোতালেবকে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর জেল থেকে ছাড়া পায় সে। বাড়ি থেকে ৭টি ইম্প্রোভাইজ লং ফায়ার আর্মস উদ্ধার করে। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। মোতালেফ ওরফে হাঁসা পুরকাইত ও জয়নাল মোল্লা নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেমন করে ধরা হল? পুলিশ সূত্রে খবর, অস্ত্র কেনার খদ্দের সেজে অস্ত্র কারখানার হদিস পেল বারুইপুর পুলিশ জেলা। ভিতরে ঢুকে তাঁরা অবাক হয়ে যান। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে খবর মিলছিল বাসন্তী থানা এলাকার রামচন্দ্রপুর এলাকায় চলছিল এই কারবার। একদম নীচু মাটি লাগোয়া খড়ের ছাউনির ঘরের মধ্যে চলছিল এই কারবার। ঘরের মধ্যে মহিলারা বাড়ির মধ্যে জরির কাজ করতেন। তার আড়ালেই চলত এই কারবার। সেখানে অস্ত্র কিনতে খদ্দের সেজে এসে গোটা কারখানার হদিস পায় পুলিশ।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল? এই ঘটনা নিয়ে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছেন বাসন্তীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এই বিষয়ে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘বেশ কিছু বন্দুক, বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম পুলিশ উদ্ধার করেছে। যে সমাজবিরোধীরা এসব আগ্নেয়াস্ত্র রাখে, বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম মজুত করছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।’ আর পাল্টা বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, ‘সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী এখন ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে। কার হাতে বিপুল ক্ষমতা যাবে তা নিয়ে ওদের দীর্ঘদিনের লড়াই বাসন্তী ব্লকের সাধারণ মানুষ দেখেছে।’